ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রণোদনা প্যাকেজ কি জানেন না ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
প্রণোদনা প্যাকেজ কি জানেন না উপজেলা পর্যায়ের ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা। প্রান্তিক উদ্যোক্তাগণ যাতে কোভিট-১৯ প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে পারে সেই জন্য প্রতিটি ব্যাংকের শাখার সামনে দৃশ্যমান ব্যানার /ছোট বিলবোর্ড রাখা দরকার। তাহলে সরকারের সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হবে জনগণ।
লকডাউনকালে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কোভিড-১৯ প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ এমন মত দেন।
বুধবার (১৪সেপ্টেম্বর) সকালে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসিফ আল্ জিনাত।
কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় উপস্থিত স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত নই। যদিও স্থানীয় ব্যাংক শাখা প্রধানগণ বলছেন তারা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিভিন্ন খাতে অর্থ ছাড় দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পেকুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে দেশের একটি বৃহৎ অংশ নারী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। উপকূলীয় অঞ্চলেরক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় উদ্যোক্তারা পণ্য উৎপাদনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক, আইএলও প্রকল্প সমন্বয়কারী সেরাজুল ইসলাম এবং চেম্বারের প্রকল্প কর্মকর্তা অশোক সরকার।
ব্যাংক প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে সিএসএমই প্রণোদনা প্যাকেজের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন- কৃষি ব্যাংক পেকুয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মোঃ মিসবাহ উল্লাহ, বিনিয়োগ কর্মকর্তা সুমন মজুমদার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ আহসান উদ্দীন, আল- অরফাফা ইসলামি ব্যাংক ব্যাবস্থাপক মোঃফয়েজ উল্লাহ, ইসলামী ব্যাংক পেকুয়া শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা মোঃ দিদারুল ইসলাম, জনতা ব্যাংক পেকুয়া শাখা ব্যবস্থাপক রুবেল কান্তি দে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফোরকান আলী। উদ্যোক্তাদের মধ্যে মর্জিনা বেগম, আমেনা বেগম, মোহাম্মদ হোছাইন, দেলোয়ার হোছাইন, মোহাম্মদ ফারুক বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত অংশীজনদের মতামত দেন- স্থানীয় কয়েকটি ব্যাংক প্যাকেজের আওতায় অর্থ ছাড় দিলেও প্রায় ৯৫% নারী উদ্যোক্তা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অনেক উদ্যোক্তাগণ ব্যাংকারদের যোগিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেন।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ প্রান্তিক পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা আরও বৃদ্ধি করা দরকার। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকারদের যোগিতা কামনা করে।
কক্সবাজার চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, টেকসই একটি অর্থনীতির ভিত্ত গঠনের লক্ষ্যে জেলার শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে আমাদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে প্রান্তিক পর্যায়ে অবহিত করা এবং ব্যাংকের এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি সুস্থ সমন্বয় সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা।

পাঠকের মতামত: